Monday, May 18, 2020

আপনার সন্তান কি অনলাইন ক্লাস করছে? তা হলে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম


(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
আমাদের জীবন যে খাতে বয়ে যাচ্ছিল, সেই নিয়মটাকেই এক ধাক্কায় অনেকটা বদলে দিয়েছে কোভিড 19 অসুখটি। সমাজের নানা মহলের ধারণা, আপাতত বেশ কয়েক বছর আমাদের তার সঙ্গেই সহবাস করতে হবে। বদলে যাবে আমাদের স্কুল-কলেজ, অফিস সংক্রান্ত ধ্যানধারণা। ঘরবন্দি থেকে অনলাইনেই কাটাতে হবে অনেকটা সময়। আর তাই সেই নতুন দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়েও নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।

Thursday, April 16, 2020

করোনায় অনলাইন ক্লাস একটা সুযোগ - ড. এম মেসবাহউদ্দিন সরকার

 (নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
প্রাণঘাতী করোনার এই মরণ ছোবল আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশের ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত এবং প্রায় সব ধরনের ব্যবসা–বাণিজ্য আপাতত বন্ধ আছে। অবশ্য হসপিটাল, ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান এবং কাঁচা শাকসবজির দোকান সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থাৎ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ আছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এই বন্ধ আরও দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমনকি এই বন্ধ ঈদুল ফিতর পর্যন্ত থাকতে পারে। শিক্ষার্থীরাও যার যার বাড়িতে, শহরে কিংবা গ্রামে অবস্থা করছে। এমতাবস্থায় শিক্ষাকার্যক্রমে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সম্ভবত এই আশঙ্কা থেকেই সরকার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা শুরু করেছে। শিক্ষাবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ প্রোগ্রামের আওতায় সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে এই অনলাইন ক্লাস সরাসরি পরিচালিত হচ্ছে, যা দেশব্যাপী সব মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

Monday, March 30, 2020

করোনাকালে অনলাইন ক্লাস: গুগল ক্লাসরুম, জুম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব লাইভ ও ফেসবুক লাইভ - মো. আতিক উল্লাহ চৌধুরী

(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ১৭ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দিন দিন পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় এই ছুটি আরও বাড়বে এটা অনেকটা নিশ্চিত বলা যায়।
এত লম্বা বন্ধকালীন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সরকার (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) দূরশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেয়। উক্ত নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের মহাপরিচালক শিক্ষকদের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করলে শিক্ষকরা তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গুগল ক্লাসরুমে পাঠদান করছেন। কেউ আবার জুম সফটওয়্যার, গুগল মিট, মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। কেউবা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ অফলাইনে ক্লাস রেকর্ডিং করে তা ইউটিউবে আপলোড দিচ্ছেন বা ইউটিউব লাইভ করছেন; তবে বলতে গেলে বেশির ভাগ শিক্ষক ফেসবুক লাইভে এসে ক্লাস নিচ্ছেন। কিন্তু কথা হচ্ছে এই অনলাইন ক্লাসগুলো শিক্ষার্থীদের কতটুকু উপকারে আসছে?
শিক্ষকরা যাদের জন্য অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন তারা ঐসব ক্লাসগুলো দেখছেন কিনা বা দেখতে পাচ্ছেন কিনা? শ্রেণি কার্যক্রম অধিক ফলপ্রসূ করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির উপযুক্ত মাধ্যম কোনগুলো তা নিয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।
গুগল ক্লাসরুম: শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কিছু কাজের অ্যাপ ‘গুগল ক্লাসরুম’। এটি মূলত একটি লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, গুগল ক্লাসরুমকে অনলাইনে শিক্ষার দারুণ এক মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিক্ষক, ক্লাসের সদস্যদের সাথে নিরাপদ পরিবেশে পাঠদান ও যোগাযোগের ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষই হলো গুগল ক্লাসরুম। এটিকে দূর থেকে শিক্ষা(রিমোট লার্নিং) গ্রহণের সবথেকে কার্যকরী অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বলা হয়। নির্ধারিত ক্লাস কোড ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যোগদান করতে পারে। এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পূর্ণ করতে ও জমা দিতে পারে। লেসনে অংশ নেওয়া, তাদের শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ ও মুহূর্তেই শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া, অনলাইন ফোল্ডারে তাদের ক্লাসওয়ার্ক সংরক্ষণ করতে পারে। অন্যদিকে কারা অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিয়েছে এবং কী কী কাজ জমা পড়েছে তা শিক্ষক সহজেই মনিটর করতে পারে। আবার শিক্ষার্থীরাও নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তুলতে এখানে গ্রুপ তৈরি করে নিতে পারে। কাগজের ব্যবহার উঠিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুরো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসার লক্ষ্যে গুগল ক্লাস রুমের যাত্রা। এই ক্লাসরুমের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো একটি কোর্সে অনেক শিক্ষার্থী এবং অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাদের ক্লাস যুক্ত করতে পারে।
অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ, ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করারও সুযোগ রয়েছে। ক্লাসরুমে আপলোডকৃত ভিডিওগুলো পরবর্তী যেকোনো সময় পুনরায় দেখা যাবে। কোনো অ্যাপস ডাউনলোড না করেও শুধুমাত্র জিমেইল আইডি ব্যবহার করে যেকোনো ডিভাইস থেকে গুগল ক্লাসে যোগদান করতে পারবে। গুগলের ভাষ্য মতে, শিক্ষাসহায়ক এই অ্যাপটি বিজ্ঞাপনমুক্ত এবং এখানকার কোনো তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহৃত হয় না।
জুম: সহজ ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ ফিচারের কারণে ভিডিও কলিং সেবায় ঝড় তোলা অ্যাপের নাম জুম। বর্তমানে ওয়েব মিটিং, অনলাইন ক্লাস বা পড়াশোনায় জুম ক্লাউড মিটিং অ্যাপসটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।
মিটিং চলাকালীন হ্যান্ড রাইটিং করা, মিটিং রেকর্ড করা, সদস্যদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা, একসিস নিয়ে অন্য কম্পিউটারে কাজ করা, ব্যবহারকারী যেখানেই থাকুক না কেন পছন্দের ব্যাকগ্রাউন্ডে ভিডিও চ্যাট করতে পারাসহ নানাবিধ সুবিধার কারণে জুম সবার কাছে এখন অনেক জনপ্রিয়। এটিতে একসঙ্গে ১০০ জন ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারে এবং বিনা মূল্যে প্রতিটি কনফারেন্সের সময় ৪০মিনিট।