Monday, May 18, 2020

আপনার সন্তান কি অনলাইন ক্লাস করছে? তা হলে মেনে চলুন কয়েকটি নিয়ম


(নীচে Read More বাটনে ক্লিক করে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন)
আমাদের জীবন যে খাতে বয়ে যাচ্ছিল, সেই নিয়মটাকেই এক ধাক্কায় অনেকটা বদলে দিয়েছে কোভিড 19 অসুখটি। সমাজের নানা মহলের ধারণা, আপাতত বেশ কয়েক বছর আমাদের তার সঙ্গেই সহবাস করতে হবে। বদলে যাবে আমাদের স্কুল-কলেজ, অফিস সংক্রান্ত ধ্যানধারণা। ঘরবন্দি থেকে অনলাইনেই কাটাতে হবে অনেকটা সময়। আর তাই সেই নতুন দুনিয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়েও নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি।


অনলাইন ক্লাস ব্যাপারটার সঙ্গে আপনার সন্তান এবং আপনি নিজে যত তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারবেন, ততই মঙ্গল। শহরের অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, বাচ্চা বা কিশোর-কিশোরীদের সামলানোর মানসিক প্রস্তুতি থাকে শিক্ষকের, তাদের স্বাভাবিক দুষ্টুমি বা অবাধ্যতার সঙ্গে তাঁরা পরিচিত। কিন্তু বাড়ি থেকে লেখাপড়ার ব্যবস্থা হওয়া ইস্তক অভিভাবকরা বড্ড নাক গলাচ্ছেন পঠনপাঠনে। সেটা সামলাতে অনেক বেশি অসুবিধে হচ্ছে। তাই প্রথমে আপনি সতর্ক হোন। বাচ্চা দুর্বল হোক, অতি স্মার্ট হোক – স্কুলের ক্লাস চলার সময়ে নাক গলাবেন না। গোড়ায় অসুবিধে হলেও তারা খুব দ্রুত মানিয়ে নেবে পরিস্থিতির সঙ্গে। আর ছোটোখাটো কিছু দুষ্টুমিও সে করতে পারে, সেটা শিক্ষক সামলাবেন। সেখানে আপনার ঢোকার দরকার নেই।

সেই সঙ্গে বাচ্চাকেও কয়েকটি বিষয় শেখাতে হবে। যেমন, অনলাইন ক্লাস চলার সময়েও স্কুলের ডিসিপ্লিন মানাটাই নিয়ম। ক্লাস শুরুর আগেই তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে, প্রতিদিনের কাজ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। সাধারণত অ্যাটেনডেন্স মার্ক করার আগে শিক্ষক ভিডিয়ো অন করতে বলেন, তাই স্কুলের পোশাক পরে তৈরি হয়ে ক্লাসে বসতে হবে। ক্লাস চলাকালীন ভিডিয়ো এবং অডিয়ো অফ রাখতে বলা হয় -- তা না মানলে শিক্ষকের পড়াতে অসুবিধে হয়। সে নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা উচিত। সাধারণত সব শিক্ষকই ছাত্রকে প্রশ্ন করার সুযোগ দেন, কোনও অসুবিধে থাকলে তখনই জেনে নিতে হবে। বাচ্চা ক্লাসে মন দিচ্ছে কিনা, নোট নিচ্ছে কিনা, সেটা আপনি দেখলেই বুঝবেন। তবে তখনই হামলে পড়ে বকাঝকা করার দরকার নেই। পরে তার সঙ্গে কথা বলুন, বোঝান যে এই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। মনে রাখবেন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা বা খুনসুটি সেও খুব মিস করছে -- তাই অযথা বকাবকি না করে তাকে বোঝান। যুক্তি দিয়ে বোঝালে বাচ্চারা সব কথা শোনে।

সন্তান স্কুলের কাজ ঠিকমতো করছে কিনা বা শিক্ষকের দেখিয়ে দেওয়া ভুল শুধরে নিচ্ছে কিনা সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। প্রথমদিকে একটু এদিক ওদিক হতে পারে, কিন্তু এই পরিস্থিতি কবে বদলাবে কেউ জানে না। তাই নতুন পৃথিবীর জন্য তাকে আজ থেকেই তৈরি করুন।
Source: https://www.femina.in

No comments:

Post a Comment